রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :

আয়নাঘর শুধু ঢাকায় ছিলো না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিলো-প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুম কমিশনের প্রতিবেদন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্তের ওপর ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, সারা দেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর আছে এবং এটা আরও বের হচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে যে এটি শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম আয়নাঘর ছিল। হিউম্যান রাইট ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে, গুম ও খুনের সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় তিনটি স্পটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) পরিদর্শন করেন, যা এরইমধ্যে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে  এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আয়না ঘর  পরিদর্শনকালে আন্তর্জাতিক দুটি মিডিয়া উপস্থিত ছিলো।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, কিছুদিন আগে রিপোর্ট হয়েছিল যে, আয়নাঘর পরিদর্শন হচ্ছে না। কিন্তু আপনারা দেখেছেন যে, ঢাকার কয়েকটি আয়নাঘর ভিজিট হয়েছে। বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে, প্রত্যেকটা খুঁজে বের করা হবে।

তিনটি লোকেশনের ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার মধ্যে দুটো র‌্যাবের আর একটি ডিজিএফআইয়ের। সেখানে কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সিন কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটা স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন, তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেন। আমরা সেখানে সবাইকে নিতে পারিনি, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা বিটিভির মাধ্যমে সবগুলো ভিডিও করেছি। আমাদের সঙ্গে শুধু দুটি মিডিয়া আউটলেট ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আমরা যে জায়গাগুলো গেলাম, সেই জায়গাগুলো খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ইট ভেঙে প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আসলে লজিস্টিক্যাল সাপোর্টের। আমাদের আইডিয়া ছিল, আমরা বিটিভি থেকে দুজন ক্যামেরাম্যান নিয়েছি, পিআইডি থেকে একজন ফটোগ্রাফার নিয়েছি। আমাদের নিজস্ব প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। এছাড়া আমরা বিদেশি গণমাধ্যম থেকে নিয়েছি আলজাজিরা ও নেত্র নিউজকে। আয়নাঘরের বিষয়ে নেত্র নিউজের যথেষ্ট অবদান আছে। তারা এটা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল, তাই তাদের নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে আমরা নিতে পারিনি। আসলে লজিস্টিক্যালি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, ৬ উপদেষ্টা এবং ৮ ভিকটিম পরিদর্শন করেন। 

প্রেস সচিব বলেন, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট আছে, সে বিষয়ে গুম কমিশন কাজ করছে। আপনারা দ্রুত সময়ে এগুলোর রেজাল্ট পাবেন।

আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলামত নষ্ট করা হয়েছে কি হয়েছে না সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে কেসগুলো হচ্ছে সেগুলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটিউররাও সেগুলো দেখছেন। প্রত্যেকটা ‘আয়নাঘর’ এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো লাগবে। গুম কমিশন বলবেন, আদৌ নষ্ট হয়েছে কি হয়নি। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে, প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল দেওয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, সেটা গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তারা বিচার করবেন।’

Please Share This Post in Your Social Media

উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি :বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক :সাংবাদিক এ.আর.এস.দ্বীন মোহাম্মদ
প্রধান কার্যালয় : বুরোলিয়া তালুকদার পাড়া, মোশারফ প্লাজা ৩য় তলা ,গাজীপুর  সদর, গাজীপুর   ।
মোবাইল: ০১৭৪৬৪৯৪৬১০,০১৯৯৫৯০৮০৬৩,০১৯৮৫১৮৫৮৮৪
কারিগরি সহযোগীতায় : দ্বীনিসফট